লালমাধব মুখােপাধ্যায়
লালমাধব মুখােপাধ্যায় (জন্ম ১৮৪১) : এক বনেদি ব্যবসায়ী ব্রাহ্মণ পরিবারে চিকিৎসক লালমাধব মুখােপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ঈশ্বরচন্দ্র মুখােপাধ্যায়। ফ্রি চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে লালমাধব মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে চক্ষু চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ হন। ফ্রি চার্চ কলেজে তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন আলেকজান্ডার ডাফ, রেভারেন্ড ভা, এওয়ার্ট এবং রেভারেন্ড ডা. ফিক। পরবর্তীকালে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানে শিক্ষক হিসাবে পান সিভার্স, ফেরার, ফ্রান্সিস, ম্যাকনামারা প্রমুখকে। ১৮৬৬-তেকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ১৮৬৬ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত উড়িষ্যারআর্তমানুষের চিকিৎসার জন্য চিৎপুর ও শিয়ালদহে যে ‘ফেমিন হসপিটালগুলি অস্থায়ীভাবে চালু করা হয় সেখানে লালমাধবের আর্তসেবার ঐকান্তিক প্রয়াস স্বাস্থ্য বিভাগের পদস্থ আধিকারিকদের মুগ্ধ করে। এরই পুরস্কারস্বরূপ তিনি কলকাতা চক্ষু চিকিৎসালয়ের প্রধান নিযুক্ত হন এবং ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলের (বর্তমানে এন. আর. এস. হসপিটাল) চক্ষু বিভাগের শিক্ষকের পদ লাভ করেন। জয়পুরের মহারাজার চোখের সফল অপারেশনের পর শল্যবিদ হিসাবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ক্যালকাটা মেডিকেল অ্যাসােসিয়েশনের (পরবর্তীকালে The Indian Medical Association (IMA)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি হিসাবে স্মরণীয়। পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাম্মানিক সদস্যপদ তাকে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সরকার তাকে রায়বাহাদুর উপাধিতেও সম্মানিত করেন। কিংবদন্তী চক্ষুবিশেষজ্ঞ সি ম্যাকনামারা প্রণীত এ ম্যানুয়েল অফ দি ডিজিজেস অফ দিআই’ নামক আবর গ্রন্থের অনুবাদ অক্ষিত্ত-ইসন্ভবতকালের প্রেক্ষিতে তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান। তিনি বেথুন সােসাইটির সম্মানিত সদস্য ছিলেন। কলকাতা পুরসভায় নিযুক্ত হয়ে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার বিষয়ে প্রভৃত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।সোর্স – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস
You must be logged in to post a comment.