ব্যক্তিত্ব কি? বিস্তারিত আলোচনা
ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিত্ব এমন একটি গুণ যাহাকে ঠিক সংজ্ঞা দিয়া বুঝানাে যায় না। পুষ্পে যেমন গন্ধ,নর কিংবা নারীতে তেমনি ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্ব বলতে সেসব গুণ বােঝায় যা লােককে আকৃষ্ট করে সাধারণ কথাবার্তায়। ব্যক্তিত্বহীন লােক বলতে এমন লােককে বুঝায় যাহার কথাবার্তায়, ব্যবহারে নমনীয়তা থাকে। ব্যক্তিত্বহীন নর নারী মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মতাে লতাইয়া চলে। আত্মসংযম, কল্পনাশক্তি, অধ্যাবসায় প্রভৃতি সমস্ত মানবীয় গুণগুলি একত্রিত হলে তবেই মানুষের ভিতরে ব্যক্তিত্বের অখণ্ড বিকাশ ঘটে। বিদ্যা, বুদ্ধি ও রূপ থাকলেও ব্যক্তিত্ব না থাকলে সংসারে কেহ মান করে না। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লােককে সাধারণ লােক তাঁহার কাছে মাথা নত করে দাঁড়ায়।
দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের জন্য ব্যক্তিত্বে ব্যক্তিত্বে পার্থক্য ঘটে, যার ফলে কেউ প্রচার বিমুখ। আবার কেউ আত্মপ্রচারক ও আত্মপ্রশংসা পরায়ণ, কেউ সংযত। ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে আশা-আকাঙক্ষার প্রকাশ পায়। আত্মমর্যাদা যার যত বেশী সে ব্যক্তি তত বেশী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ তার সহজাত ক্ষমতা দ্বারা যা করতে পারে তাকে সামর্থ্য বলে।
দু’প্রকার সামর্থ্য হয়; যথা—বুদ্ধিগত ও দেহগত সামর্থ্য। বাস্তব পরিস্থিতিকে অনুধাবন করে সেই অনুসারে কাজ করার ক্ষমতা ব্যক্তিত্বকে বৈশিষ্ট্য দান করে। মেজাজ ব্যক্তিত্বের অন্যতম বৈশ্বিষ্ট্য।
গৃহিনি নিরাভিমান হইয়া সকলের সঙ্গে যেমন মিশিয়া চলিবেন, তেমনি স্বাভাবিক ব্যক্তিত্বের গুণে সকলকে তিনি মুগ্ধ করিয়াও রাখিবেন, প্রকৃতপক্ষে গৃহকত্রীর পক্ষে ব্যক্তিত্বহীন হলে সংসার পরিচালনা একেবারে অসম্ভব। গৃহকত্রীর চালচলন লঘু প্রকৃতির হইলে স্বভাবতই কেহই তাহাকে মানিয়া চলিবে না।
You must be logged in to post a comment.